রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেনাবাহিনীর (অব:) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় তদন্তকারি কর্মকর্তা র্যাবের সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামের জেরা শেষ করতে পারেনি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। ফলে কাল মঙ্গলবার আবারো জেরা শুরু হবে।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল এর আদালতে জেরা কার্যক্রম চলে। যেখানে একজন আসামীর আইনজীবীর জেরা অসমাপ্ত রয়েছে। ফলে কাল মঙ্গলবারও জেরাএ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের পক্ষের কৌশলী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
তিনি জানান; গত ১৭ নভেম্বর সপ্তম দফায় তৃতীয় দিনের মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা র্যাবের সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামের জেরা শুরু হয়েছিল। কিন্তু আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা শেষ করতে পারেনি। ফলে আদালতের নির্ধারিত ধার্য্য দিন সোমবার অসমাপ্ত জেরার কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুরে ১ ঘন্টার বিরতি দিয়ে ৫ টার পর্যন্ত জেরার কার্যক্রম চলে। এপর্যন্ত ১৪ আসামীর আইনজীবী জেরা শেষ করলেও প্রদীপের পক্ষের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত জেরা শেষ করতে পারেননি। তিনি মঙ্গলবার অসমাপ্ত জেরা করবেন। তদন্তকারি কর্মকর্তার জেরা শেষ হলে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। এরপর শুরু হবে মামলার উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। কিন্তু যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আগে আইনের বিধি-মোতাবেক আসামীদের শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। হাসপাতাল থেকে শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে আসার পর যুক্তিতর্কের কার্যক্রম শুরু হবে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামীকে আদালতে আনা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট থেকে এ মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলার ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ দফায় মোট ৬৫ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।
গেল বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোষ্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর (অব:) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনার পরপর পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেন র্যাবকে। তদন্ত শেষে ১৩ ডিসেম্বর র্যাব ১৫ এর সহকারি পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম ১৫জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
চলতি বছরের ১৭ জুন আদালত ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। মামলায় অভিযুক্ত টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ আসামী কারাগারে রয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply